Slogan

ট্রাস্টি বোর্ড

আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ
  বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী, জাতীয়ভাবে অভিনন্দিত শিক্ষক ও শিক্ষাবিদ, লেখক, টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব, পরিবেশ ও সামাজিক আন্দোলনকারী, সফল সংগঠক, আদর্শবাদী ও স্বপ্নদ্রষ্টা, অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী।

অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ তার প্রতিষ্ঠান বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের মাধ্যমে জাতিকে নেতৃত্ব দেবার উপযোগী একটি সম্পন্ন প্রজন্ম গড়ে তোলার জন্যে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

শিক্ষা ও সমাজ গঠনে তার অবদানের স্বীকৃতি হিশেবে তিনি সাংবাদিকতা, সাহিত্য ও উদ্ভাবনী যোগাযোগ পদ্ধতির জন্যে দেয়া এশিয়ার নোবেল প্রাইজ হিসেবে রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কারে ভুষিত হন ২০০৪ সালে। এ ছাড়াও আরো বহু পুরস্কার পেয়েছেন তিনি যার মধ্যে রয়েছে জাতীয় টেলিভিশন পুরস্কার, একুশে পদক, পরিবেশ পদক (গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার), বাংলা একাডেমী পুরস্কার সহ পনেরটিরও বেশি উচ্চ প্রশংসিত পদক ও পুরস্কার। অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এমএ ডিগ্রী অর্জন করেছেন।

মোহাম্মদ ফরিদউদ্দীন
 

প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী জনাব মোহাম্মদ ফরিদউদ্দীন রাখী ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ১৯৫৬ সালে মর্নিং সান এ সাংবাদিকতা দিয়ে জনাব ফরিদউদ্দীনের কর্মজীবন শুরু। ব্যবসায় যুক্ত হবার আগে বেশ কিছু জাতীয় দৈনিকে কাজ করেছেন তিনি। বহু সমাজ-কল্যাণমূলক কর্মকান্ডের সঙ্গে তিনি জড়িত আছেন। একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠা ও বিভিন্ন অবদানের জন্যে সুপরিচিত। জনাব ফরিদউদ্দীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে এমএ।

মনসুর আহমেদ চৌধুরী
 

জনাব মনসুর আহমেদ চৌধুরী বহু সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত। উলেস্নখযোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অ্যাকশান এইড ইন্টারন্যাশনাল- বাংলাদেশ (এএআইবি)- এর বোর্ড মেম্বার; ইমপ্যাক্ট ফাউন্ডেশান বাংলাদেশ (আইএফবি)-এর প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি; সোশাল সার্ভিসেস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ট্রাস্ট (এসএসএমটি)- স্যার জন উইলসন স্কুল, ঢাকা, বাংলাদেশের সচিব ও প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি; সেন্টার ফর সার্ভিসেস অ্যান্ড ইনফরমেশান অন ডিজঅ্যাবিলিটি (ডি সি আই)-এর সহ-সভাপতি এবং এক্সিকিউটিভ বোর্ড অব ডিজঅ্যাবিলিটি কাউন্সিল ইন্টারন্যাশনাল (ডিসিআই)-এর সদস্য তিনি। এ ছাড়াও তিনি ইউনাইটেড নেশানস মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবন্ধীদের অধিকার বিষয়ক কমিটির সদস্য, বিশ্ব ব্যাংক ঢাকা এবং ইউএনএসক্যাপ ব্যাংকক- এর কনসালট্যান্ট, আইএফবি-র প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক এবং বিশটিরও অধিক প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদে কর্মরত ছিলেন।

জনাব চৌধুরী ইউকে থেকে ব্যবস্থাপনায় উচ্চতর প্রশিক্ষণ, ইউএসএ থেকে পেশাদারী প্রশাসন বিষয়ে প্রশিক্ষণসহ ভারত, সুইডেন ও মালয়েশিয়া থেকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। কার্যোপলক্ষে দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল, মধ্যপ্রাচ্য, পশ্চিম ইউরোপ, স্ক্যানডেনেভিয়া, উত্তর আমেরিকা ও দক্ষিণ আফ্রিকার ৪৫টিরও অধিক দেশ ভ্রমন করেছেন জনাব চৌধুরী। জনাব চৌধুরী সমাজে অসামান্য অবদানের জন্য বিভিন্ন পদকে ভূষিত হয়েছেন। এর মধ্যে উলেস্নখযোগ্য অতীশ দীপঙ্কর পদক, সিনিয়র অশোকা ফেলোশিপ, রোটারী ইন্টারন্যাশনাল থেকে মানবতার সেবা পুরস্কার ও সিঙ্গার বাংলাদেশ এবং চ্যানেল আই থেকে আজীবন অবদানের সম্মাননা।

জনাব চৌধুরীর প্রকাশনার সংখ্যা ৩০-এর অধিক। এর মাঝে বেশ কিছু প্রবন্ধ বিভিন্ন কনফারেন্সে উপস্থাপিত হয়েছে। জনাব মনসুর আহমেদ চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জন প্রশাসন বিষয়ে এমএ।

আমিনুল ইসলাম ভুঁইয়া
 

জনাব আমিনুল ইসলাম ভুঁইয়া হলেন বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট চিন্তাবিদ, লেখক ও অনুবাদক। তিনি প্লেটোর সমগ্র রচনা বাংলা ভাষায় অনুবাদের জন্য বিশেষভাবে খ্যাতিমান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে এবং যুক্তরাষ্ট্রের আমেরিকান ইউনিভার্সিটি থেকে নীতি বিশ্লেষণে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। বাংলা ভাষায় অনুবাদে বিশেষ কৃতিত্বের জন্য ২০১৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। কর্মজীবনে তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস-এর একজন সদস্য ছিলেন। তিনি ২০১০ খ্রিস্টাব্দে তিনি বাংলাদেশ সরকারের সচিব পদ থেকে অবসর লাভ করেন। তিনি এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, (ম্যনিলা) বিকল্প নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

প্লেটোসমগ্র, তথা, প্লেটোর আটাশটি সংলাপ বাংলায় ভাষান্তর করে বিশিষ্ট অনুবাদক আমিনুল ইসলাম ভুইয়া বাঙালি পাঠককে দর্শনপাঠে, বিশেষত ধ্রুপদী গ্রিকদর্শন পাঠে অধিকতর আগ্রহী করে তোলার প্রয়াস পেয়েছেন। কার্ল পপার, ডেভিড হিউম, বার্ট্রান্ড রাসেল, ফ্রাঞ্জ ফাঁনো, পাওলো ফ্রেইরি এবং মিথতত্ত্ববিদ জোসেফ ক্যাম্পবেলের বেশ কিছু সংখ্যক বই তিনি অনুবাদ করেছেন।

ইফতেখারুল ইসলাম
 

ইফতেখারুল ইসলাম একজন ব্যবস্থাপনা পরামর্শক | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগ থেকে স্নাতক-সম্মান ও স্নাতকোত্তর | একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে করেছেন এমবিএ | আমেরিকার হোয়ারটন বিজনেস স্কুল আর ফ্রান্সের ইনসিয়াডে প্রশিক্ষিত | কর্মজীবন কেটেছে ফাইসন্স, আইসিআই এবং সানোফি নামের বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানিতে; দীর্ঘদিন ডিরেক্টর মার্কেটিং এন্ড সেলস, কয়েক বছর ভারতে সানোফির ডিরেক্টর বিজনেস অপারেশনস, এবং শেষ দশ বছর সানোফি বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর | জ্যেষ্ঠ্য ও শীর্ষ কর্মকর্তা হিসেবে বিভিন্ন বিভাগের সকল পর্যায়ে মেধাবী ব্যবস্থাপক নিয়োগ, প্রশিক্ষণ ও তাঁদের সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটানোর মধ্য দিয়ে দক্ষতার সঙ্গে প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে নিয়েছেন |

সত্তর দশকের মাঝামাঝি উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণির ছাত্র থাকাকালে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ সম্পাদিত 'কন্ঠস্বর' পত্রিকায় গ্রন্থ সমালোচনার লেখক হিসেবে লেখালিখির শুরু | বাংলাদেশের সকল প্রধান দৈনিক, সাপ্তাহিক ও অন্যান্য সাময়িকীতে লিখেছেন সাহিত্য-বিষয়ক প্রবন্ধ, গ্রন্থ-সমালোচনা, ভ্রমণকাহিনি এবং চিত্রকলা বিষয়ক রচনা |

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সূচনালগ্নের অন্যতম অংশী, প্রথম দিনের পাঠচক্রের সদস্য ইফতেখারুল ইসলাম এখন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি | প্রকাশিত বই : এই আকাশে আমার মুক্তি (অনন্যা ২০১৪), স্বপ্নের ঠিকানা (সময় ২০১৮), ছবির শহর (সময় ২০১৮), যেখানে এভারেস্ট (বাতিঘর ২০২১)|

 
মোঃ আবদুস সামাদ
 

কবি ও গদ্যকার জনাব মো: আব্দুস সামাদ ১৯৬১ সালে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এগ্রিকালচার ইঞ্জিনিয়ারিং এ বিএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং পরবর্তীতে মার্কেটিং এ এমবিএ করেন। পেশাগত পরিচিতির বাইরে তিনি একজন কবি। তাঁর লেখা একাধিক কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ নিয়েও তিনি গবেষণা করেছেন। তিনি বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে সক্রিয় আছেন। 'বাংলা একাডেমী' ও 'এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ' -এর আজীবন সদস্য।

মো. আবদুস সামাদ তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন ১৯৮৬ সালে, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের এজিএম হিসেবে। ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে যোগদানের পর কেন্দ্রীয় ও মাঠ প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বপালন করেছেন। চাকরী জীবনে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলাপ্রশাসক, পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, বিভাগীয় কমিশনারসহ বিভিন্ন সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

২০১৭ সালে তিনি নৌ-পরিবহন সচিব পদে পদোন্নতি পান। ২০২০ সালে তিনি সিনিয়র সচিব হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন ও অবসর গ্রহণ করেন। সরকারী দায়িত্ব পালনকালে তিনি অত্যন্ত সুনাম অর্জণ করেন, বিশেষ কৃতিত্বের জন্য পুরস্কার লাভ করেছেন, বিশ্বের বহু দেশ ভ্রমণ করেছেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অধীনস্থ সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউণ্ডেশন (এসডিএফ)'র চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

পারভীন মাহমুদ
 

পারভীন মাহমুদ এফসিএ নারীর ক্ষমতায়নে সক্রিয় দেশের অন্যতম একজন উদ্যমী ও সফল পেশাজীবী হিসাববিদ। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার বোর্ডের নেতৃত্বে কাজ করার নানাবিধ অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। তিনি ইউসেপ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও এসিড সার্ভাইভারস ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ছিলেন। তিনি আরডিআরএস বাংলাদেশ ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পারভীন মাহমুদ দি ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড একাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) এর প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট, সাউথ এশিয়ান ফেডারেশন অব একাউন্ট্যান্টস (সাফা) এর প্রথম বোর্ড মেম্বার এবং সাফা অন্তর্ভুক্ত হিসাববিদদের সংগঠনের মধ্যে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট। আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক অর্থনীতিতে অনন্য অবদানের জন্য 'লিডারশিপ ইন ফাইন্যান্স এন্ড এক্যাউন্টিং' ক্যাটাগরীতে 'টপ-ফিফটি' ওমেন গ্লোবাল অ্যাওয়ার্ডস - ২০২৩ পেয়েছেন। এটি আর্ন্তজাতিক প্লাটফর্মে পেশাজীবী নারীদের জন্য অত্যন্ত সম্মানজনক পুরষ্কার।

পারভীন মাহমুদ ব্র্যাক এ তার কর্ম জীবন শুরু করেন। Actionaid International Bangladesh (AAB) এর ফাইন্যান্সিয়াল কন্ট্রোলার ছিলেন। Acnabin & Co.চার্টাড একাউন্ট্যান্টস এর পাটর্নার ছিলেন। ১৯৯৬ সালে তিনি ক্ষুদ্র ও মাঝারি ঋণ প্রদানকারী শীর্ষ সংস্থা পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনে (পিকেএসএফ) যোগদান করেন এবং ২০১১ সাল পর্যন্ত উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসাবে কর্মরত ছিলেন। ২০১২ সালে তিনি গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্ট এ ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসাবে যোগদান করেন। তিনি এসএমই ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা পর্ষদ সদস্য এবং বর্তমানে সাধারন পর্ষদ সদস্য। তিনি ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্প উন্নয়নের জন্য গঠিত জাতীয় পরামর্শক প্যানেলে সদস্য এবং এমএমই উমেন ফোরামের সভাপতি ছিলেন। ক্ষুদ্র ও মাঝারী ঋণ কার্যক্রমের মাধ্যমে কর্মসংস্থান ও উদ্যোক্তা সৃষ্টি, আর্থ সামাজিক উন্নয়নের জন্য সেবা প্রদানকারী সংস্থার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমাতায়নে তার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে।

পারভীন মাহমুদ গ্রামীণ ফোন লিঃ, লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেড, গ্রামীণ ডানোন ফুডস লি:, ইউসেপ- বাংলাদেশ, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, এ্যাকশন এইড বাংলাদেশ, মাইডাস এবং ব্র্যাক ইন্টান্যাশনাল এর পর্ষদ সদস্য। তিনি ইনস্টিটিউট অব মাইক্রোফাইন্যান্স এর সাধারন পর্ষদ সদস্য। তিনি লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেড, ইউসেপ- বাংলাদেশ, এ্যাকশন এইড বাংলাদেশ, ব্র্যাক এবং ব্র্যাক ইন্টান্যাশনাল এর অডিট কমিটির সদস্য।

খালিদ হাসান
 

জনাব খালিদ হাসানের দেশে এবং বিদেশের বিভিন্ন বহুজাতিক সংস্থায় ৪০ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং তিনি EKConsulting-এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক এবং প্রধান পরামর্শদাতাদের একজন।

কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স, লিগ্যাল অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স, বিজনেস ডেভেলপমেন্ট, হিউম্যান রিসোর্স অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজির প্রধান হওয়ার পাশাপাশি তিনি গ্রামীণফোনের শীর্ষ ব্যবস্থাপনা টিমে আট বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। এ সকল দায়িত্ব গ্রহণের আগে, তিনি প্রায় চার বছর ধরে বাংলাদেশে জেনারেল ইলেকট্রিক (GE)-এর প্রথম কান্ট্রি ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কাজে অনবদ্য অবদান রাখায় খালিদ হাসান মর্যাদাপূর্ণ জিই প্রেসিডেন্টস ম্যানেজমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। এছাড়াও তিনি ব্যাংককের টেলিনর এশিয়া গ্রুপ অফিসে বিজনেস এনভায়রনমেন্ট ম্যানেজমেন্ট (বিইএম) এর পরিচালক হিসেবে আঞ্চলিক ব্যবসা উন্নয়ন এবং টেলিকমের জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থার দায়িত্ব পালন করেছেন।

জনাব খালিদ বিওসি বাংলাদেশ থেকে কর্মজীবন থেকে শুরু করেছিলেন। সেখানে তিনি ১৫ বছর ধরে বিভিন্ন বিপণন এবং সাধারণ ব্যবস্থাপনা পদে কাজ করেছেন। কর্মজীবনের বিভিন্ন সময়ে তিনি সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিজনেস স্কুল, স্টকহোম স্কুল অফ বিজনেস, টেলিনর টপ ম্যানেজমেন্ট ট্রেনিং সেন্টার, জিই ম্যানেজমেন্ট ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, মিলওয়াকী, উইসকনসিন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে ব্যাপকভাবে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।

অতিথি শিক্ষক হিসাবে জনাব খালিদ ২০০৪ সাল থেকে আইবিএ (ইনস্টিটিউট অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) এর স্নাতক এবং ইএমবিএ উভয় কোর্সে পড়াচ্ছেন। তিনি বিকাশ, ইউনাইটেড গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ এবং আমিন মোহাম্মদ ফাউন্ডেশনের মতো বেশ কিছু বড় প্রতিষ্ঠানে কৌশলগত ব্যবসা সম্প্রসারণের অন্যতম উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করেছেন।

জনাব খালিদ বর্তমানে ভবিষ্যত ব্যবসায়িক নেতাদের নেতৃত্ব বিকাশের জন্য সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়ন নিয়ে কাজ করছেন।

আবদুন নূর তুষার
 

বিতার্কিক, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, উপস্থাপক আব্দুন নূর তুষার পেশায় একজন চিকিত্সক । পড়াশোনা করেছেন ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল ও কলেজে এবং ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে। চাকুরী করেছেন হাইপারটেনশন সেন্টার, ইউ এস এইড এর বেসিকস প্রকল্পে এবং সরকারী চাকুরী করেছেন কিছুদিন। কৈশোর থেকে জাতীয় স্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতা দিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। ছাত্রজীবনে বিতর্ক চর্চায় বাংলাদেশ থেকে ওয়ার্ল্ড ডিবেটেও অংশগ্রহণ করেছেন। চাকুরী ছেড়ে টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মান ও উপস্থাপনা করেছেন, কর্মরত আছেন নিজেরই একটি প্রতিষ্ঠান গতি মিডিয়া লিমিটেড-এ প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে। উপস্থাপনায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। তৈরি করেছেন একাধিক জনপ্রিয় অনুষ্ঠান। বাউবি ১২, শুভেচ্ছা, হরলিক্স জিনিয়াস বাংলাদেশ ও জিনিয়াস পরিবার, ইউ গট দ্য লুক, সময়ের কথা, ক্রিকেট ক্রিকেট এবং রোড টু ডেমোক্রেসী ইত্যাদি জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা অনুষ্ঠানগুলির অন্যতম ছিল। বিভিন্ন বেসরকারি টিভি চ্যানেলে বেশ কিছু অনুষ্ঠানে সঞ্চালক ও পরামর্শক হিসাবে কাজ করেছেন।

ডা. তুষার একজন সামাজিক সংগঠক। দেশব্যাপী বিতর্কচর্চার প্রসারে ১৯৯১ সালে ছাত্রাবস্থায় গড়ে তুলেন বিতার্কিকদের জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ ডিবেট ফেডারেশন। সংগঠনটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন, দাতব্য চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সোসাইটি অব হাইপারটেনশনের মহাসচিব, এবং প্রথম আলো বন্ধুসভা জাতীয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি হিসাবে কাজ করেছেন। সমাজসেবার স্বীকৃতি স্বরুপ তিনি রোটারী ইন্টারন্যাশনালের একজন পল হ্যারিস ফেলো। ১৯৮৪ সাল থেকে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের সাথে যুক্ত আছেন। জনসাধারণকে স্বাস্থ্য সচেতন করতে নিয়মিত লেখার পাশাপাশি গত দুই দশক ধরে নিয়মিতভাবে নানা বিষয়ে পত্রিকাতে লেখেন। তার প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে আছে দেহঘড়ি, রিশা, ছয় নম্বর ক্রোমোজোম ও এই বুকে ফেসবুকে।

আরিফ খান
 

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট হিসেবে কর্মরত আছেন। পড়াশুনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে (এলএল.বি.(অনার্স) ও এলএল. এম.)। ইংল্যান্ডের স্থানীয় বিচারব্যবস্থা বিষয়ে গবেষণা করেছেন (২০০৮-২০১০)। একই সময়ে লন্ডনভিত্তিক বিখ্যাত ল'ফার্ম ব্রুমেল অ্যান্ড স্যাম্পল সলিসিটরস্-এ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত থাইল্যান্ডের জাতীয় নির্বাচনে তিনি পালন করেছেন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব। একই বছর থাইল্যান্ডের নরেসুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল সাইন্স বিভাগের আমন্ত্রণে Rule of Law and Democracy in South Asia বিষয়ক বক্তৃতা প্রদান করেন।

বাংলাদেশের সংবিধান বিষয়ে গবেষক হিসেবে আরিফ খানের পরিচিতি ও খ্যাতি সর্বাধিক। তিনি প্রকাশিতব্য ''বাংলাদেশের সাংবিধানিক দলিলপত্র''-এর সম্পাদক (যৌথ)। সাধারণ নাগরিকদের কাছে বোধগম্য করার জন্য তিনি বাংলাদেশের সংবিধানকে এই প্রথম চলিত বাংলায় রূপান্তর করেছেন। রাষ্ট্রের মৌলিক এই দলিলটিকে গণমানুষের ভাষার কাছাকাছি নিয়ে আসার তাঁর এই প্রচেষ্টা বিদ্বৎমহলে প্রশংসিত হয়েছে।

মুহাম্মদ আলী নকী