Slogan

অর্জন

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের অর্জন গৎবাঁধা কোনো নিয়মে বোঝানো যাবে না। কিন্তু এর অভিঘাত প্রবলভাবে দৃশ্যমান হয়ে ওঠে যখন দেখা যায় দেশ গড়ার কাজে নিয়োজিত তরুণ প্রজন্মের চিত্তের আলোকায়ন ও মননের উৎকর্ষ সাধনে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রভাব কতটা সুদূর প্রসারী হয়েছে। এই পরিবর্তনগুলি প্রচলিত সেবা-প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মতো বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য দিয়ে বোঝানো যাবে না। এর পরও শতসহস্র ছাত্রছাত্রী ও ব্যক্তি বিশেষের জীবনে ও সমাজে উচ্চমূল্যবোধে ও পূর্ণতর মনুষ্যতে জেগে ওঠার মধ্যে দিয়ে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র তার অর্জনের মাত্রা অনুভব করতে পারে। গত ৪১ বছর ধরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র স্কুল ও কলেজের প্রায় ৯০,০০,০০০ (নব্বই লক্ষ) ছাত্রছাত্রীকে বিভিন্ন কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করেছে। বর্তমানে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরিসহ সারা দেশে বিভিন্ন কর্মকান্ডে প্রায় ২.৮ মিলিয়ন ছাত্রছাত্রী এবং পাঠক সম্পৃক্ত আছে। আমরা আশা করছি আগামী ২০২২ সাল নাগাদ প্রায় ৫ মিলিয়ন ছাত্র-ছাত্রী নিয়মিতভাবে আমাদের বিভিন্ন কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত হবে। ইতিমধ্যেই একটি প্রজন্ম তৈরি হয়েছে যাঁরা গত কয়েক দশক ধরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বিভিন্ন উৎকর্ষ কার্যক্রমের আলোকে উন্নততর মনুষ্যত্বে উত্তীর্ণ হয়েছে যার প্রকাশ ঘটছে তাদের ব্যক্তিগত ও কর্মজীবনে। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ও তার প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বিভিন্ন কর্ম ও অবদানের জন্যে বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য:

  •  জ্যান অ্যামোস কমিনিয়াস পদক ২০০৮ শিক্ষাক্ষেত্রে ইউনেস্কোর সবচেয়ে সম্মানসূচক এই পদকটি ছাত্রছাত্রীদের এবং সাধারণ জনগণের মাঝে বইপড়ার আগ্রহ সৃষ্টিতে চমৎপ্রদ পদ্ধতি, অবদান ও অর্জনের স্বীকৃতি হিশেবে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রকে প্রদান করা হয়েছে।
  • র‌্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার ২০০৪, এই পুরস্কারটি বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদকে সাহিত্যের প্রতি তাঁর সুগভীর অনুরাগ ও বাংলাদেশের নবীন প্রজন্মকে বিশ্বের ও বাংলাসাহিত্যের শ্রেষ্ঠ বইয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবার মাধ্যমে তাদের মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করার জন্যে দেয়া হয়েছে।