১৯ মে ২০২৩ সকাল ১১.০০টায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে দেশভিত্তিক উৎকর্ষ কার্যক্রমের আওতায় একাদশ শ্রেণির বইপড়া কর্মসূচির পুরস্কার বিজয়ী পাঠকদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়েছে। এ অনুষ্ঠান থেকে ঢাকা মহানগরের সেরা ১৩টি কলেজ এবং কেন্দ্রভিত্তিক বইপড়া কর্মসূচি মিলে স্বাগত ১০৬জন, শুভেচ্ছা ৮৯জন, অভিনন্দন ৪৬জন ও সেরাপাঠক ২৫জন মোট ২৬৬ জন ছাত্রছাত্রীকে তাদের শিক্ষক ও অভিভাবকদের উপস্থিতিতে পুরস্কৃত করা হয়েছে। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানটি আয়োজনে সহযোগিতা করেছে আইএফআইসি ব্যাংক।
এই পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আইএফআইসি ব্যাংকের সম্মানিত ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব শাহ আলম সরোয়ার, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সম্মানিত ট্রাস্ট্রি ও সাবেক সচিব জনাব আমিনুল ইসলাম ভুঁইয়া এবং অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি জনাব আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালাক জনাব শামীম আল মামুন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের যুগ্ম পরিচালক (প্রোগ্রাম) মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ সুমন।
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে আইএফআইসি ব্যাংকের সম্মানিত ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব শাহ আলম সরোয়ার পুরস্কার বিজয়ী ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বই তোমাকে মানুষ চিনতে, সমাজ চিনতে সহায়তা করবে। তোমাদের চিন্তা উন্নত হলেই আগামীদিনের বাংলাদেশ সমৃদ্ধ ও উন্নত হবে । তিনি উপস্থিত অভিভাবকদের পাঠ্যবই এর বাইরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে নিজ সন্তানকে উৎসাহ দিচ্ছেন এজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ এই বলে তিনি তার বক্তব্য শেষ করেন।
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সম্মানিত ট্রাস্ট্রি ও সাবেক সচিব জনাব আমিনুল ইসলাম ভুঁইয়া বক্তব্যের শুরুতেই পুরস্কার বিজয়ী ছাত্রছাত্রীবৃন্দ এবং উপস্থিত সকলকে শুভেচ্ছা জানান। তিনি পুরস্কার বিজয়ী ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা যে সুযোগ পাইনি, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র তোমাদেরকে সেই সুযোগ করে দিয়েছে। এই সুযোগকে তোমরা কাজে লাগাও, বেশি বেশি করে বই পড়ো। তোমাদের মাধ্যমেই আগামী বাংলাদেশ আলোকিত হবে ।
অনুষ্ঠানের সভাপতি বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি জনাব আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বক্তব্যের শুরুতেই পুরস্কার বিজয়ী ছাত্রছাত্রীবৃন্দ এবং উপস্থিত সকলকে শুভেচ্ছা জানান। তিনি পুরস্কার বিজয়ী ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমাদের জ্ঞান পিপাসা বাড়াতে হবে এবং এই পিপাসা মেটানোর চেষ্টা করতে হবে। আর এই পিপাসা মেটানোর মাধ্যম হলো বই। পৃথিবীতে যা কিছু বড়, শ্রেষ্ঠ তার সবই পাবে বই এর মধ্যে। নিজেদের জ্ঞানকে বৃদ্ধি করার জন্য বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই।
একাদশ শ্রেণির বইপড়া কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা বাংলা সাহিত্য ও পৃথিবীর কিশোর সাহিত্যের সেরা ১২টি বই পড়ার সুযোগ পাবে। একটি ছোট্ট ও সরস পরীক্ষার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের বইপাঠ মূল্যায়ন করে পঠিত বইয়ের উপর ভিত্তি করে ৪টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার বিজয়ীদের নিবার্চন করা হয়, মূল্যায়ন পর্বে যারা ৬টি বই পড়েছে বলে প্রতীয়মান হবে, তারা পাবে স্বাগত পুরস্কার, যারা ৮টি বই পড়েছে বলে প্রতীয়মান হবে, তারা পাবে শুভেচ্ছা পুরস্কার, যারা ১০টি বই পড়েছে বলে প্রতীয়মান হবে, তারা পাবে অভিনন্দন পুরস্কার, আর যারা ১২টি বই পড়েছে বলে প্রতীয়মান হবে, তারা পাবে সেরা পাঠক পুরস্কার।